মনিরুজ্জামান মনিঃ
রাজশাহীর তানোর উপজেলার বাধাইড ইউনিয়নের জুমারপাড়া যুব ক্লাবের উদ্যােগে ঈদুল আযহার নামে চলছে লটারির রমরমা বানিজ্য।
মোটরসাইকেল,ফ্রিজ,স্মাটফোন,পেশারকুকার রাইসকুকার,বাটনফোন,ছাগলসহ বিভিন্ন রকম লোভনীয় পুরস্কারের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি হচ্ছে রেফেল ড্রর টিকিট। প্রতিটি টিকেট বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে। গত ১লা জুন থেকে শুরু করে আগামী ২০ই জুন লটাারির ড্র অনুষ্ঠিত হবে।লোভে পড়ে গ্রামের নিরীহ মানুষ কিনছেন এসব লটারি। মেলার আয়োজক জুমার পাড়া যুব ক্লাব র্যাফেল ড্র-সংশ্লিষ্ট কমিটি এভাবে প্রতিদিন মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।
গত বুধবার (৫ই জুন)সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তানোর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মোড়ে অটোগাড়ি নিয়ে মাইকিং করে টিকিট বিক্রির এমন দৃশ্য দেখা যায়।
এদিকে, আয়োজক কমিটির এসব লোভনীয় প্রস্তাবে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। শিশু, বয়োজেষ্ঠ্য থেকে সব শ্রেণির মানুষ লোভে পড়ে কিনছেন এসব লটারি। এসব কারণে এলাকায় চুরি ও অন্যায়-অত্যাচার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে সচেতন মহল।
সরেজমিনে দেখা যায়, তানোর পৌরসভার মোড় থানার মোড়,মুন্ডুমালা বাজার, বিল্লী বাজারসহ
শতাধিক গাড়িতে ৩০০-৪০০টি করে টিকেট নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিক্রি করছে লটারি। প্রতিদিন গড়ে ৩-৪লাখ টাকার লটারি টিকেট বিক্রি হচ্ছে। এতে সর্বশান্ত হচ্ছেন অনেকেই।
এ বিষয়ে মেলা কমিটির পৃষ্টপোষক ইউপি সদস্য মুকুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন,প্রতিবার আমরা ঈদুল আযহার উপলক্ষে সাংস্কৃতিক র্যাফেল ড্র করে থাকি। তার ধারাবাহিকতায় এবার করেছি।তবে কার ও অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে ,কৌশলে মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এ বিষয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন বলেন, কোথও লটারি চালানোর কোনও সুযোগ নেই। আমরা এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যাবস্থা নিব।’
সম্পাদক ও প্রকাশক: সোহানুল হক পারভেজ