মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন

নিউজ হেডলাইন:
তানোরে কৃষকের ১০ বিঘা জমির খড়ের পালায় আগুন পুড়ে ছাই তানোরে নীতিমালা লঙ্ঘন করে গভীর নলকুপ অপারেটরের আবেদন মোহনপুরে বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিতসভাপতি শামিমুল ইসলাম মুন, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব নির্বাচিত রাজশাহীতে বাসচাপায় প্রাণ হারালেন একই পরিবারের ৩ জন রাজশাহী জেলা কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিতসভাপতি আসাদ-সম্পাদক আখতার চলনবিল অধ্যুষিত উল্লাপাড়ায় সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহের ধুম পবায় অনুদানের নামে ইট ভাটায় চাঁদাবাজি তানোরে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত তানোরে দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রতারণায় প্রথম স্ত্রী নিঃস্ব তানোরে জনপ্রিয় নেতা মিজানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে উপজেলা বিএনপির সাংবাদিক সম্মেলন
তানোরে পলিনেট হাউস প্রকল্পে দুর্নীতি

তানোরে পলিনেট হাউস প্রকল্পে দুর্নীতি


তানোর প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরে কৃষি বিভাগের পলিনেট হাউস(গ্রীণহাউস) প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকার কৃষকদের মাঝে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, তিন ফসলি জমি বা গভীর-অগভীর নলকুপের স্কীমের সেচ সুবিধাভুক্ত জমিতে পলিনেট হাউস 
প্রকল্প বাস্তবায়নের কোনো সুযোগ নাই। কিন্ত্ত ঘুষ গ্রহণের বিনিময়ে নীতিমালা লঙ্ঘন করে মোহনপুর গ্রামে পলিনেট হাউস প্রকল্প দেয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক বলেন, কৃষি কর্মকর্তাকে দুই লাখ টাকা দিয়ে প্রকল্প নিতে হয়েছে।এছাড়াও বালাইনাশকের লাইসেন্স নবায়ন করতে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ নিচ্ছে কৃষি কর্মকর্তা।
জানা গেছে,পলিনেট হাউস তৈরি করা হয় নেট, পলি এবং লোহা বা বাঁশের অবকাঠামো দিয়ে।চারপাশে 
নেট দিয়ে ঘেরা হয়। আর ওপরের অংশে থাকে পলিথিন বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে ত্রিপল।পলিনেট 
হাউস তৈরি করতে প্রয়োজন তাপমাত্রা সহনশীল বিশেষ পলিথিন ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণকারী মেশিন।
পলিনেটের ওপরে শেড দিয়ে তাপ নিয়ন্ত্রণ করা হয় কৃত্রিম উপায়ে। এখানে উৎপাদিত চারা প্রায় ২০ দিন পর রোপণযোগ্য হয়। মূলত অতিবৃষ্টি ও অকাল বন্যায় চারা রাখতে না পারায় বিকল্প এই ব্যবস্থা। 
উপজেলার  পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) মোহনপুর গ্রামের মৌসুমি বেগমের সেমি-ডিপের স্কীমের মধ্যে তিন ফসলি জমিতে পলিনেট হাউস 
প্রকল্প দেয়া হয়েছে।ঘুষ গ্রহণের বিনিময়ে বিনিময়ে মোহনপুর গ্রামের রইস উদ্দিন টিপুকে পলিনেট 
হাউস প্রকল্প দেয়া হয়েছে। স্থানীয় কৃষক লুৎফর রহমান, আকতার হোসেন ও রফিকুল ইসলাম অভিযোগ প্রকল্পের বিপরীতে প্রায় ২৪ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও মাত্র ৬ থেকে ৭ লাখ টাকার কাজ করে বাকি টাকা কৃষি কর্মকর্তা আত্মসাৎ করেছে। সরেজমিন তদন্ত করা হলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে। 
জানা গেছে, যেসব উঁচু জমিতে সেচ সুবিধা নাই বৃষ্টি নির্ভর একটি ফসল উৎপাদন অথবা পতিত পড়ে থাকে। সেই সব জমিতে পলিনেট হাউসের মাধ্যমে উচ্চমূল্যের ফসল যেমন টমেটো, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি, রকমেলন, রঙিন তরমুজ, রঙিন ফুলকপি, বাঁধাকপি, লেটুস এসব সবজির পাশাপাশি চারা উৎপাদনের সুযোগ তৈরি করা হয়। এর ফলে সবজি চাষে যেমন বৈচিত্র্য আসবে, তেমনি অনেকেরই আয়ের নতুন উৎস হবে। পলিথিনের আচ্ছাদন থাকায় এতে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ভেতরে প্রবেশে বাধা পায় এবং অতিবৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগেও ফসল অক্ষত থাকে। অসময়ে সবজি চাষের জন্য পলিনেট হাউস দেশে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির নতুন সংযোজন। এর মাধ্যমে শীতকালীন সবজিগুলো যেমন সহজেই গ্রীষ্মকালে উৎপাদন করা সম্বব তেমনি গ্রীষ্মকালে সবজিও শীতকালে উৎপাদন করা সম্বব।এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে পলিনেট হাউস প্রকল্প দেয়া হয়েছে।

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




Copyright @ 2024 Jonotarsomoy24.com । জনতার সময়২৪. All rights reserved

ডিজাইন ও তৈরী করেছেন- হাবিবুর রহমান নীল