সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন
.
নিজস্ব প্রতিবেদক তানোর :
বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে সুপরিচিত নাম রাজশাহীর তানোর উপজেলা। বর্তমানে উপজেলায় যেদিকে তাকাই চোখ যায় যতদূর শুধু সবুজের সমারোহ আর সবুজের সমারোহ। মাঠ জুড়ে আমন ধানের ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক শ্রমিকরা। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে বেড়ে উঠতে শুরু করেছে কৃষকের স্বপ্নের ফসল রোপা আমন ধান। অন্যবছরের তুলনায় এবছর আমন রোপণের শুরু থেকে কৃষকদের ব্যাপক দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। আমন চাষের ভরা মৌসুম আষাঢ় মাসেও ছিলনা আকাশের বৃষ্টির দেখা। যার জন্য সঠিক সময়ে আমন ধান রোপণ করতে পারেনি প্রায় কৃষক। তবে অনেকে সেচের পানিতে রোপন করার পরপরই হয় আকাশের বৃষ্টি। কিন্তু উঁচু এলাকায় সেচ নির্ভর হয়ে পড়েছে রোপা আমন। সেচ ও বৃষ্টির পানিতে প্রতিটি জমিতে হয়েছে রোপা আমন ধান রোপন। যাঁরা আমনের শুরুতে ডিপ মটারের সেচের পানিতে আমন ধান রোপণ করছেন তাদের প্রায় জমিতে ধানের শীষ গজাতে শুরু করেছে। উপজেলার বিভিন্ন আমনের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে,কমবেশি সব কৃষকের কষ্টে অর্জিত আমন ধানের সবুজ পাতার রঙে ছেয়ে গেছে মাঠ। দুএক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিটি জমিতে সম্পূর্ণ ভাবে ধানের শীষ বেরিয়ে যাবে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে ,চলতি মৌসুমে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২২হাজার ৫০০ হেক্টর । তবে যদি আকাশের আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তাহলে আমনের ফলনও ভালো হওয়ার আশাবাদী কৃষকদের। উপজেলার প্রকাশনগর গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন,তিনি ২২বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। এখন পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। এতে করে তার বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৯হাজার টাকা করে। তিনি বলেন, ধান উঠা পর্যন্ত বিঘা প্রতি আরো খরচ হবে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা মতো। এতে করে একেক বিঘা আমন ধান কাটা পর্যন্ত মোট খরচ হবে ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা করে।
তানোর পৌর এলাকার চাপড়া গ্রামের কৃষক বাসির উদ্দিন বলেন, অন্যবছরের তুলনায় এবছর আমন চাষের জন্য কৃষককে ব্যাপক দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। আমন রোপণের সঠিক সময়ে বৃষ্টি ছিলনা,তার ভিতরে সার পটাশের ব্যাপক সংকট ছিলো, সার পটাশেসহ কীটনাশকের দামও বেড়েছে কয়েকগুণ । যার কারনে খরচও বাড়তি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, আমনের এই একটি আবাদ কৃষকরা অল্প খরচে বেশি লাভবান হয়ে থাকেন। যদি কোন দূর্যোগ বালা না হয় তাহলে আমনের ফলনও খুব ভালো হয়। আর কৃষকের আমন ধান চাষে কোন রোগ বালাই না হয় সেজন্য প্রতিনিয়ত কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে থেকে তদারকি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে কৃষকরা এবার আমন ধানের ভালো ফলন পাবেন।
Copyright @ 2024 Jonotarsomoy24.com । জনতার সময়২৪. All rights reserved
Leave a Reply