স্বেরাচার হাসিনা সরকারের কার্যালয়ে ছিল ‘র’ এজেন্ট কামরুজ্জামান

নিজস্ব প্রতিবেদক : কামরুজ্জামান চাকরি করতেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে। পদ পদবি ছিল মেইনটেইন্স ইঞ্জিনিয়ার। প্রটোকল মেইনটেইন না করেই বসের ওপরের বসের সান্নিধ্য পেয়ে যেতেন। মেকানিজমে চলতো চাকরি, অবৈধ উপার্জন সেই সাথে কানাডায় রক্ষিতা’র একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করতেন। ছাত্র জনতার বিপ্লবে স্বৈরাচার হাসিনা পতনের পর ভোল পাল্টিয়েছেন কামরুজ্জামান। গোপন সূত্র বলছে, জিম্মি করেই কোটি কোটি টাকার মালিক কামরুজ্জামান। এমনকি সে একজন “র”-এর এজেন্ট।

গণমাধ্যমকর্মীদের তথ্য অনুসন্ধানে উঠে আসে কামরুজ্জামানের ধূর্ততার সাথে কোটি কোটি টাকা লুটপাটের চিত্র।

কামরুজ্জামানের পারিবারিক তথ্য ও রক্ষিতার সূত্র অনুযায়ী, ২০১২- ২০১৪ পর্যন্ত একাত্তর টেলিভিশনে চাকরি করেছেন। সেখানে চাকরি ছাড়ার পর কামরুজ্জামান মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে রক্ষণাবেক্ষণ প্রকৌশলী হিসেবে চাকরি পান।

নিরাপত্তার স্বার্থে নাম গোপন রাখার শর্তে এক অরগানাইজেশান পক্ষ জানায়, টেন্ডার বা প্রজেক্টগুলো কামরুজ্জামানের কাছে যেন হাতের মোয়া। তাঁর সিস্টেমটা ছিল প্রটোকল মেইনটেইন না করেই উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে সখ্যতা গড়ে তুলতেন। এরপর থেকে তাঁর সিনিয়র বা সহকর্মীদের বিষয় মাথায় রাখতেন না। কেউ তাঁর অনিয়ম সম্পর্কে কথা বললেই বলতেন ডিবি হারুনকে ডাকবো! আবার অনেক সময় বিষয়টি উঠে এসেছে, সে একজন র এর এজেন্ট। সেক্ষেত্র দেখিয়ে ক্ষমতাবলে টেন্ডার যাকে খুশি তাঁকে দিতেন। আর সেই কাজ নিজেদের কোম্পানি নিজেদের অরগানাইজেশান দিয়েই করাতেন। আবার একই অরগানাইজেশান দিয়ে করাতেন না। একটা কোম্পানির মাধ্যমে প্রায় ৭/৮ টা অরগানাইজেশান করা হতো। একেকটা অরগানাইজেশানকে একেক সময় প্রজেক্টগুলো দিতেন। যদি ৫০ লক্ষ টাকার কাজ হয় তাহলে, ৩৫ বা ৫০ হাজার টাকা প্রজেক্ট সম্পূর্ণ করা ব্যক্তিকে দিতেন বাকি টাকা তিনি নিতেন। বাকি টাকা কামরুজ্জামান আত্মসাৎ করতেন। মুখ খুলে না কেউ। মুখ খুললেই ডিবি হারুনের সাথে উঠানো ছবি দেখিয়ে ভয় দেখাতেন।

কামরুজ্জামান কিভাবে আর্থিক লেনদেন করতেন এবং কি করতেন এত টাকা! এত টাকা কারও একাউন্টে নেয়া হয়। সেখান থেকে সে টাকা হাতে নেন। এরপর টাকাগুলো কানাডার ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করেন। কিন্তু নিজের একাউন্টে নেন না। তাহলে একাউন্টটি কার! একাউন্টটি কামরুজ্জামানের রক্ষিতার।

কেনো এখনও গোপন!- এমন প্রশ্নে প্রতারিত, নির্যাতিতরা বলেন, এখনও আমরা ভয়ে আছি। কেননা এখন কামরুজ্জামান নিজেকে বিএনপি দলকে ম্যানেজ করবেন। তিনি হুমকি দিচ্ছেন আমি কার্যালয়ে আবার জায়গা নেব। হারুনের অভাব নেই। তোদের মত লোকদের যখন তখন নাই করে দিতে পারি বলেও হুমকি দিচ্ছে।

  • Related Posts

    তানোরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের গোপন বিয়ে ঘিরে

    স্টাফ রিপোর্টার: পরিবার ও স্ত্রী-সন্তান রেখে গোপনে দ্বিতীয় বিয়ের ঘটনায় আলোচনার ঝড় বইছে রাজশাহীর তানোরে। অভিযোগ উঠেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক, মাহবুব নামের, তানোর পৌর সদরে এক তরুণীকে গোপনে বিয়ে…

    তানোরে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

    নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর তানোরে যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে।বুধবার(২৬ মার্চ)সূর্যদয়ের সাথে সাথে উপজেলা পরিষদ চত্বরে শহীদ মিনারে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে…

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    সর্বশেষ

    তানোরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের গোপন বিয়ে ঘিরে

    তানোরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের গোপন বিয়ে ঘিরে

    তানোরে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

    তানোরে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

    পুঠিয়ায় পুকুর মাফিয়ার হামলা: সাংবাদিকদের ক্যামেরা ছিনতাই, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার হস্তক্ষেপে উদ্ধার

    পুঠিয়ায় পুকুর মাফিয়ার হামলা: সাংবাদিকদের ক্যামেরা ছিনতাই, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার হস্তক্ষেপে উদ্ধার

    রাজশাহীতে অপহরণকৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করলো পিবিআই

    রাজশাহীতে অপহরণকৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করলো পিবিআই

    নাটোরে বিএসটিআইয়ের অভিযানে সেমাই কারখানাকে জরিমানা ও মালামাল জব্দ

    নাটোরে বিএসটিআইয়ের অভিযানে সেমাই কারখানাকে জরিমানা ও মালামাল জব্দ

    তানোরে বিএনপি’র দুই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার

    তানোরে বিএনপি’র দুই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার