সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫২ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা হাটের জায়গা দখল করে আলিশান বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ভবনটি নির্মাণের জন্য পৌর ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল ও সাবেক কাউন্সিলর অনৈতিক সুবিধার মাধ্যমে প্লান পাশ করে দিয়েছেন বলেও একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন। সরেজমিনে তদন্ত করলেই এসব অনিয়ম ধরা পড়বে বলে মনে করছেন হাটের ব্যবসায়ীরা। তবে ভবনের মালিক মোতালেব প্রভাব শালী হওয়ার কারনে কেউ কোন কিছুই বলতে পারছেন না বলেও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি ।
সরেজমিনে দেখা যায়, মুন্ডুমালা হাটের উত্তরে ও সরকারী স্কুলের পূর্ব দিকে এবং গ্রামে যাওয়ার রাস্তার দক্ষিণে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী মোতালেব। পৌর এলাকার কোন পাকা ভবন নির্মাণ করতে হলে পৌরসভা থেকে প্লান পাশ করতে হয়। প্লান পাশ করতে গুনতে হয় বাড়তি টাকা। ভবনের সামনের সিড়িসহ ভবনের সামনের অংশের জায়গা হাটের।
স্থানীয় বেশকিছু ব্যবসায়ীরা জানান, আরএস ১৮২ দাগে মোতালেবের দেড় শতাংশ জায়গা আছে। কিন্তু ভবন নির্মাণ হয়েছে প্রায় দুই শতকের বেশি জায়গায়। অর্থাৎ হাফ শতাংশকের বেশি জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণ করেছেন মোতালেব।
প্রথম দিকে এভাবে ভবন নির্মাণ করতে পারেনি মোতালেব। কিন্তু সাবেক কাউন্সিলর আতিক অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার নাজমুলের সাথে যোগসাজশের মাধ্যমে ভবন নির্মাণের প্লান পাশ করে দেন।
সাবেক কাউন্সিলর আতিক সকালের সময়কে জানান, আমার জানা মতে হাটের জায়গা নাই। আমি এখন দায়িত্বে নেই, অনেক দিনের কথা।
ভবন নির্মাণ কারী মোতালেব সকালের সময়কে জানান, হাটের জায়গায় কি পৌরসভা প্লান পাশ করে দিবে। আপনার জায়গা দেড় শতাংশ ভবন নির্মাণ হয়েছে দুই শতাংশের বেশি জায়গায় জানতে চাইলে তিনি জানান সামনের কিছু অংশ পড়েছিল ভেঙে ফেলা হয়েছে। আপনি সামনের অংশ ভাঙ্গলেও উপরে তো রয়েই গেছে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন পৌরসভা থেকে যেভাবে প্লান পাশ করে দিয়েছে সে ভাবেই ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, আমার ভবন নির্মাণে যত সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। অথচ মুন্ডুমালা হাটের প্রভাবশালীরা হাটের জায়গা দখলে নিয়ে ব্যবসা ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন, তাদের কোন সমস্যা হয়নি।
পৌরসভার সার্ভেয়ার রাজু সকাালের সময়কে জানান, সামনের সিড়িসহ উপরের অংশ হাটের। মোতালেব কে উচ্ছেদ করতে বলা হলেও তিনি করেননি। পুনরায় মাপজোক করে হাটের জায়গা টুকু দখল মুক্ত করা হবে।
সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল সকালের সময়কে জানান, হাটের জায়গায় ভবন নির্মাণ হয়নি। সামনের সিড়িসহ ওই ভবনের কিছু অংশ হাটের ও দেড় শতাংশ জায়গায় এমন ভবন কিভাবে হয় জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার জানা মতে এমন হওয়ার কথা না। আপনি এবং সাবেক কাউন্সিলর আতিক অনৈতিক সুবিধার মাধ্যমে নাকি প্লান পাশ করে দিয়েছেন প্রশ্ন করা হলে তিনি অস্বীকার করেন।
মুন্ডুমালা তহসিল অফিসের নায়েব ইকবাল হোসেন সকালের সময়কে বলেন, মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে ভবন দেখে মালিক কে কাগজপত্র নিয়ে ডাকা হয়েছে। আমি তো সদ্য যোগদান করেছি। কাগজপত্র দেখে যদি হাটের জায়গায় ভবন নির্মাণ করা হয় সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। কর্তৃপক্ষ যেভাবে ব্যবস্থা নিতে বলবেন সে ভাবেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে দেড় শতাংশ জায়গার উপরে ভবন নির্মাণ হয়নি, বেশি জায়গায় হয়েছে বলে মনে হয়েছে আমার।
Copyright @ 2024 Jonotarsomoy24.com । জনতার সময়২৪. All rights reserved
Leave a Reply