সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: রাজশাহীর তানোর উপজেলার দুই পৌরসভা ও সাত ইউনিয়ন পরিষদে যে যার মতো নিচ্ছে জন্মনিবন্ধন ফি। চাহিদা মতো টাকা না দিলে করছে হয়রানি। আইন অনুযায়ী শিশুজন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্মনিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। দুই বছরের মধ্যে জন্মনিবন্ধন না করালে বাবা-মায়ের জন্য জরিমানার বিধানও আছে। আর এই সময়ের মধ্যে নিবন্ধনে শিশুদের জন্য কোনো ফি নেওয়া হয় না। তবে জন্ম ও মৃত্যুর দুই বছর পর নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রতি বছরের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে ৫ টাকা ও সিটি করপোরেশন বা পৌর এলাকায় ১০ টাকা হারে ফি দিতে হবে। জন্ম বা মৃত্যুসনদের মূল বাংলা বা ইংরেজি কপি সরবরাহে আলাদা কোনো টাকা লাগবে না। সম্প্রতি বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন আর সিআরভিএস ব্যবস্থার আলোকে শিক্ষার্থীদের অনলাইন ডাটাবেজ প্রণয়ন ও তথ্য সংগ্রহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক তথ্য ফরম প্রদান করা হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান এমন নির্দেশনা বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদপ্রাপ্তির তাগিদ দেন। যদিও কোন কারণে এ কার্যক্রম শিক্ষা মন্ত্রাণলয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা পূর্বের নির্দেশনার আলোকে জন্মনিবন্ধন পেতে শিক্ষার্থী আর অভিভাবকরা আজ-অবদি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌর পরিষদে ভিড় জমাচ্ছেন। এই সুযোগে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌর পরিষদের মেয়রদের নির্দেশে তাদের অধীনস্থ কর্মচারীরা দেড়শ থেকে ঊর্ধ্বে তিনশ টাকা কোনো ধরনের রশিদ ছাড়া সনদ প্রদানের নামে আদায় করেছেন। এরপরও পৌর ট্যাক্স ও কর বকেয়া থাকলে কোনো সনদ ও সেবা প্রদান করা হচ্ছে না। নাগরিকদের এভাবে জিম্মি করে শুধু অর্থ বাণিজ্য নয়, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হয়রানি করছেন সমানে।এ নিয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিনহাজুল ইসলাম জনতার সময়কে বলেন, জন্মনিবন্ধন প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো অর্থ নেওয়া আর হয়রানি করা যাবে না। জন্মসনদ পেতে ট্যাক্স ও কর পরিশোধের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। পরিষদের সংশ্লিষ্টরা জনগণকে সেবার নামে হয়রানি করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Copyright @ 2024 Jonotarsomoy24.com । জনতার সময়২৪. All rights reserved
Leave a Reply