সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: বৃদ্ধ মাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক সন্তানের বিরুদ্ধে। রাজশাহী মোহনপুর উপজেলার রাইঘাটি ইউনিয়নের আমগাছি গ্রামে ঘটে এমন ঘটনা। সরজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় আমগাছি গ্রামের মৃত মানিক মিয়ার স্ত্রী বিধবা মাজেদা বেওয়ার(৭৫) একমাত্র ছেলে মোঃ আসাদুল ইসলাম গত এক মাস আগে তার মায়ের জমানো টাকা আত্মসাৎ করে। এ বিষয়ে মা মাজেদা বেওয়া খোঁজ নিতে চাইলে তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। ৭৫ বছর বয়সী মাজেদা বেওয়া সাংবাদিকদের বলেন আমার স্বামী মারা যাওয়ার পূর্বে কিছু জমি বন্ধক নেয়া ছিল ও আমার যাকাত ফিতরার টাকা ও লোকের বাড়িতে কাজ করা টাকা দিয়ে আরো কিছু জমি বন্ধক নেওয়া ছিল সকল বন্দক নামার কাগজ জমা ছিল আমার একমাত্র ছেলে আসাদুল এর কাছে। আসাদুল ও তার স্ত্রী মিলে আমার সকল অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে অন্যত্র জমি বন্ধক নেই এবং আমাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়।এ খবর আমার মেয়েরা পেলে আমার ছোট মেয়ে এসে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই এবং থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। তারপর থেকে আমার স্বয়ং কক্ষে তালা মেরে দেয় ছেলে আসাদুল এবং স্থানীয়রা চেষ্টা করেও আমাকে বাড়িতে উড়তে দেয়নি। এমতাবস্থায় দেশবাসী ও সরকারের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এলাকা বাসি বলেন মাজেদা একজন গরীব বিধবা নারী, তার একমাত্র ছেলের কাছে এমনটা আশা করিনি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি বলেন,আসাদুলের বাবা মারা যাওয়ার পর তার মায়ের জমানো টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্য বোন ও এলাকা বাসির সহযোগিতায় মায়ের দেখভালের দায়িত্ব নেয়,কিছুদিন ভালো ব্যাবহার করে মায়ের মন জয় করে।এবং সুকৌশলে মায়ের জমানো টাকা নিজের করে নেওয়ার পর এমন অমানবিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।এমন সন্তানের কঠোর বিচার হওয়া দরকার।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আসাদুল দাম্ভিকতার সহিত বলেন হ্যা আমি মেরেছি,তাড়িয়েও দিয়েছি,যা হওয়ার হবে, আপনারা (সাংবাদিকেরা ) যা করার করেন গা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমি জানি,তবে স্থানীয় ভাবে বসতে রাজি হয়নি আসাদুল।তবে সাংবাদিক আসার পরে তিনি এলাকায় বসতে রাজি হয়েছেন,চেয়ারম্যান এর পরামর্শে সময় করে এর সঠিক ফায়সালা করা হবে।
এ বিষয়ে মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হরিদাস মন্ডল বলেন, থানায় সাধারন ডায়েরি হয়েছে,স্থানীয় ভাবে মিমাংসার কথা রয়েছে, জদি সমাধান হয় ভালো নয়তো তদন্ত করে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
Copyright @ 2024 Jonotarsomoy24.com । জনতার সময়২৪. All rights reserved
Leave a Reply