সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন
সারোয়ার হোসেন তানোর (রাজশাহী): রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়নের পারিশো দূর্গাপুর বাজারে র্যাবের সোর্স পরিচয়ে আবার কখনো সৈনিক লীগের নেতা পরিচয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে রমরমা ফেন্সিডিলের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন শীর্ষ মাদক কারবারি আশরাফুল আলম। দেখার যেন কেউ নেই। নাকি অন্যকিছু! প্রতিদিন দলবেঁধে হোন্ডা নিয়ে ফেন্সিডিল খেতে মাদক সেবীরা ভীড় জমাচ্ছেন আশরাফুল আলমের বাড়িতে ও দূর্গাপুর বাজারে তার পল্টি মুরগির খামারে। এতে করে তার প্রকাশ্যে দিবালোকে ফেন্সিডিল ব্যবসার জন্য এলাকার জনসাধারণ গন চরম ক্ষীপ্ত হয়ে উঠেছে। আশরাফুল আলমের মাদকের ব্যবসার জন্য এলাকার উর্তি বয়সের ছেলে-মেয়ে নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অভিভাবকরা। সম্প্রতি,আশরাফুল আলমের মাদক ব্যবসা বন্ধের জন্য গ্রামের লোকজন তাকে একাধিক বার নিষেধ করলেও তাদের কথায় কোন কর্ণপাত না করে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে আশরাফুল আলমের ফেন্সিডিল ব্যবসা। এমনকি মাদক ব্যবসায় বাঁধা দিলে প্রকার্শে তার বখাটে ছেলে রাসেল সাবেক এক যুবলীগ নেতাকে চাকু মেরে আহত করেন। যার ফলে প্রকার্শে মাদক (ফেন্সিডিল) ব্যবসা করলেও আশরাফুল ও তার ছেলের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। পারিশো দূর্গাপুর গ্রামের বেশকিছু সচেতন মানুষ জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদকের কারবার করে আসছে আশরাফুল আলম। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে কেউ সাহস পায়না। কেউ সাহস করে অভিযোগ করলে তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হয়। তার মাদকের ব্যবসার জন্য এলাকায় ছেলে মেয়ে নিয়ে ব্যাপক আতঙ্কে রয়েছে অভিভাবকরা। মাদক ব্যবসার বিষয়ে আশরাফুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মাদকের তেমন ব্যবসায়ি না। বিভিন্ন জায়গায় র্যাব ও পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে দু’একটা ফেন্সিডিল পেলে সেগুলো বিক্রি করি। এসব নিয়ে আপনারা কেনো সংবাদ করবেন। সাক্ষাতে আসেন বসে কথা বলি বলে জানান তিনি।
Copyright @ 2024 Jonotarsomoy24.com । জনতার সময়২৪. All rights reserved
Leave a Reply